বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৭ এএম
বোদা পৌরসভা। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার নতুন পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিজের খেয়ালখুশিমতো কেনাকাটা করেন মেয়র আজাহার আলী। এতে কোনো নিয়মনীতি মানেন না তিনি।
সম্প্রতি বোদা পৌরসভার জন্য আলোকসজ্জার সরঞ্জাম ও ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন কেনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এসব কেনার বা স্থাপনের আগে টেন্ডার বা কটেশনে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তার কিছুই করেননি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক কাউন্সিলর জানান, এসব কীভাবে হচ্ছে, আর কোন পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব করা হচ্ছে আমরা তার কিছুই জানি না। মেয়র যখন যেটা ভাবছেন সেটাই করছেন।
আলোকসজ্জার বিষয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সায়েম রুবেল জানান, তিনি আলোকসজ্জার কাজটি করেছেন মেয়রের নির্দেশে। তবে এতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা বলতে পারবেন না তিনি। এসব একমাত্র মেয়র জানেন এবং এই কাজে আরও দুজন কাউন্সিলর যুক্ত ছিলেন বলেন তিনি জানান। যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে টেন্ডার বা কটেশন কোনোটিও করা হয়নি। খাদেমুল ইসলামে নামে আরেকজন তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানান রুবেল।
বোদা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাদেমুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। এসব অনিয়মের সঙ্গে তার নাম কেউ যুক্ত করলে সেটা মিথ্যা কথা বলা হবে। এসব কাজের জন্য কোনো কমিটি হয়নি বা কোনো স্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হয়নি তার কাছ থেকে।
একই অবস্থা ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন কেনার কাজে। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের জন্য ৪০টি ডাস্টবিন কেনা হয়েছে। এসব কেনার ক্ষেত্রেও মানা হয়নি কোনো নিয়ম।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন বাবলা একাই এসব কিনেছেন বলে জানা গেছে। তবে কমিটির কথা বলা হলে তিনি বলেন, কমিটি হয়েছে। তবে কারা ওই কমিটির সদস্য ছিলেন, তা বলতে পারেননি তিনি।
বোদা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন হোসেন জানান, ডাস্টবিন ও আলোকসজ্জার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই তার কাছে। নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার বা কটেশনে করে হওয়ার কথা ছিল, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
বোদা পৌরসভার ঠিকাদাররা জানান, গোপনে কাজ করলে অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দামের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য পাওয়া যাবে। ঠিকাদার পলিন বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হলে আমরা ঠিকাদাররা এতে অংশ নিতে পারতাম। তাতে কম টাকা লাগত।
পৌরসভার মেয়র আজাহার আলী জানান, প্রয়োজনের তাগিদে এগুলো কেনা ও লাগানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কটেশন করা হবে।