× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বগুড়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্তের ভরসা হকার্স মার্কেট

বগুড়া অফিস

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০৩ পিএম

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৫৯ পিএম

ঈদ উপলক্ষে অল্প দামে ভালো মানের পোশাক কিনতে বগুড়ার হকার্স মার্কেট ও ফুটপাথের দোকানগুলোতে ঝুঁকছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। প্রবা ফটো

ঈদ উপলক্ষে অল্প দামে ভালো মানের পোশাক কিনতে বগুড়ার হকার্স মার্কেট ও ফুটপাথের দোকানগুলোতে ঝুঁকছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। প্রবা ফটো

ঈদ উপলক্ষে অল্প দামে ভালো মানের পোশাক কিনতে বগুড়ার হকার্স মার্কেট এবং ফুটপাথের দোকানগুলোতে ঝুঁকছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে কয়েক বছরের তুলনায় এসব দোকানে এবার বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে।

এ বছর হকার্স মার্কেট এবং ফুটপাথের দোকানগুলোতে কাপড় ও জুতার দাম গত বছরের তুলনায় বেশি বলে অভিযোগ করেন পোশাক কিনতে আসা ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে পণ্য কেনার কারণে আগের বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বগুড়া শহরের রেলস্টেশন রোডে হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, অন্য মার্কেটের তুলনায় দিনের বেলায় এই মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। অধিকাংশ দোকানে শিশুদের জামা, জিন্স প্যান্ট, মেয়েদের টু-পিস, থ্রি-পিস, কাটা কাপড় ও জুতা-স্যান্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতাদের পছন্দ তিনশ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

বগুড়ার রাণীরহাট এলাকা থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে হকার্স মার্কেটে আসা সুবর্না আকতার বলেন, ‘গত বছর ছেলের জন্য যে গেঞ্জি ১৫০ টাকায় কিনেছিলাম, সেটির দাম এ বছর ২৫০ টাকা হয়েছে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষরা কম দামে ভালো পোশাক কিনতে এখানে আসি। কিন্তু এখানেও এ বছর দাম বেশি।’ 

সদর উপজেলার শেখেরকোলার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। যে টাকা আয় করি তা দিয়ে বড় কোনো মার্কেটে যাওয়ার সাহস পাই না। কিন্তু এ বছর সব জিনিসের সঙ্গে পোশাকের দামও বেড়েছে। নিজের না হোক সন্তানের জন্য কিনতে পারলেই খুশি।’

শহরের চেলোপাড়া এলাকার লিপি আক্তার বলেন, ‘কাটা কাপড় কিনলাম। অল্প টাকায় এখানে বেশ ভালো কাপড় পাওয়া যায়। এই কাপড় দিয়েই ভালো পোশাক বানিয়ে নিতে পারব।’

হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত বছর কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম ছিল। এ বছর আমাদের বেশি দামে সব জিনিস কিনতে হয়েছে। এতে বঙ্গবাজারের আগুনে বেশ প্রভাব রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নইলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’ 

লিটন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গরম থাকলেও খোলামেলা হওয়ায় এই মার্কেটে দিনের বেলায় বেশি ভিড় হয়। এবার দেশি ও ভারতীয় থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা কাজ করা প্রিন্টের থ্রি-পিস বেশি কিনছেন। দাম একটু বেশি হলেও গতবারের তুলনায় ব্যবসা ভালো হচ্ছে।’ 

রাতে তারাবি শেষে ভিড় জমে নিউ মার্কেট, আলতাব আলী, জলেশ্বরীতলা ও ফুটপাথের দোকানগুলোতে। 

এ বছর শহরের বিপণিবিতানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে নারীদের নায়রা, সারারা ও গারারা নামের পোশাক। এ ছাড়া থ্রি-পিস, ফ্রকের পাশাপাশি নারীরা কিনছেন শাড়ি।

মাসুদ রানা নামে এক বিক্রেতা জানান, নায়রা, সারারা ও গারারা পোশাক সর্বনিম্ন ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও দামে মিলে গেলে কিনে নিচ্ছে। 

আর বরাবরের মতো ঈদে পুরুষের পছন্দ পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট ও টি-শার্ট। তবে এসব দোকানেও গত ঈদের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি হওয়ার কথা জানান ক্রেতারা। 

অবশ্য বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি। এক বিক্রেতা বলেন, ’প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

আর শহরের ফুটপাথের দোকানগুলোতে অল্প দামে জুতা স্যান্ডেল বিক্রি জমজমাট। রাস্তার পাশে এসব দোকানে বেচাকেনা মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। 

এ ছাড়াও শহরের অভিজাত এলাকা জলেশ্বরীতলা, রানার প্লাজায় গত বছরের তুলনায় ভিড় কম। মূলত দাম বেশি হওয়ার কারণে এসব দোকানে কম ছুটছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। 

এদিকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, 'ঈদকে ঘিরে শহরের লোকজনের চাপ বেড়েছে। দিনে ও রাতে ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।' 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা