বরিশাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৮ পিএম
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:১৪ পিএম
ফাইল ফটো
বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে সুরতহাল শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চাকলা বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পূর্বতয়কা গ্রামের জলিল কবিরাজের ছেলে আলমগীর কবিরাজ এবং তার সহযোগী একই গ্রামের সেলিম বেপারীর ছেলে হেলাল বেপারী।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন অশ্রু বলেন, চাকলা এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলমগীর কবিরাজ এবং আলমগীর হাওলাদার দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে সোমবার রাতে চাকলা বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষ হাওলাদার পক্ষের লোকজন আলম কবিরাজ ও হেলাল বেপারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই হেলালের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আলমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৭ থেকে ৮ বছর আগে হাজী গ্রুপ ও আকন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হাজী গ্রুপের আনিস নামের একজন নিহত হন। এরপর থেকে এলাকায় আসতে পারেনি হাজী গ্রুপের ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বেপারীসহ তার লোকজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান সরদার বলেন, দাদন হাওলাদারের ভাই আনিছ হাওলাদার কয়েক বছর আগে খুন হন। সে ঘটনায় মামলার পর দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিল হেলাল বেপারী ও কামাল বেপারী। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তারা নিজ এলাকায় আসেন। আর সোমবার সকালে দাদন হাওলাদারের পক্ষে কিছু লোক এলাকায় আসে। শুনেছি এলাকায় আসার আগে পুলিশের সহায়তাও চেয়েছিল তারা। আর এলাকায় আসার পরই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরে হেলাল বেপারী ও আলম কবিরাজ খুন হন।
ওসি তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, এলাকার আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থালে পুলিশ পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।