সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২০ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১২ পিএম
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নদীবেষ্টিত গাবুরা ইউনিয়ন সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদে ফের ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রবা ফটো
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নদীবেষ্টিত গাবুরা ইউনিয়ন সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদে ফের ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল স্রোতের কারণে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তেই ৫০০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ইউনিয়নের সোরা গ্রামের ৫০০ ফুট এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নদীতে বিলীন হয় ২০০ ফুট এলাকা।
নদীভাঙন এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘নদীভাঙনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। বসতবাড়ির জায়গাটুকু নদীতে চলে গেলে আমরা কোথায় থাকব? আমরা ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাই, তিনি যেন নদীভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দেন।’
সোরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল রহিম, রুহুল কুদ্দুসসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এখনই যদি ভাঙনকবলিত এলাকা মেরামত না করা হয় তবে তলিয়ে যেতে পারে ‘দৃষ্টিনন্দন’ নামের পানির প্রকল্পটি। এ প্রকল্পের মিষ্টি পানির পুকুর থেকেই ওই এলাকার প্রায় ৫০০ মানুষ পানি পায়। এলাকাটি ডুবে গেলে লবণাক্ত হয়ে যাবে মিষ্টি পানির জলাধারটি। ফলে চরম পানি সংকটে পড়বে গাবুরা এলাকার মানুষ। এ ছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসাসহ এলাকার শতশত মানুষ পানিবদ্ধ হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়তে পারে।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, ‘আপাতত স্থানীয়দের উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊ র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোনোভাবেই যেন এলাকায় পানি ঢুকতে না পারে সেই চেষ্টা করছি আমরা।’
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ভেঙে যাওয়া জায়গাটি এতটাই খারাপ যে, সেখানে বালুর বস্তা ফেলে স্থায়ী কোনো সমাধান হবে না। কারণ নদীর গভীরতা অনেক বেশি। তবুও জরুরি ভিত্তিতে আপাতত বালুর বস্তা পাঠানো হয়েছে যাতে ভাঙনটি ঠেকানো যায়।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে পুরো গাবুরায় বেড়িবাঁধসহ নদীর কিনারা মিলে মোট সাড়ে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ব্লক ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হবে। বড় বড় বার্জের আকৃতি সদৃশ বালু ও মাটির বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হবে। এটি মোটামুটি স্থায়ী পদ্ধতি বলা চলে। কিছু জায়গায় এর কাজও শুরু হয়েছে।