ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৬ এএম
ফাইল ফটো
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের ৫০০টি সংযোগ রয়েছে। এরমধ্যে ৪৭৫টি সংযোগই বিকল বলে জানা যাচ্ছে।
ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণকালে মাটির নিচের টেলিফোনের ক্যাবল কাটা পড়ায় সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন হয়। এ ছাড়া অনেকে স্বেচ্ছায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদনও দিয়ে রেখেছেন।
জানা যায়, বিটিসিএলের ফুলবাড়ীর এক্সচেঞ্জটি অ্যানালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করা হলেও গ্রাহকের সুবিধা বাড়েনি। এ কারণে গত কয়েক বছরে অনেক টেলিফোন গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন করেছেন।
উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৫০০টি টেলিফোন সংযোগ কাগজ-কলমে থাকলেও মাত্র ২৫টি সচল রয়েছে। কিন্তু সংযোগ বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই মাসিক বিল। প্রতি মাসেই বিটিসিএলের পক্ষ থেকে বিলের কাগজ গ্রাহককে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এক্সচেঞ্জটিকে ডিজিটাল ঘোষণার পর ৫০০টি টেলিফোন সংযোগ বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়। কিন্তু ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাহক কাঙ্ক্ষিত সুবিধা না পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রাহক জানান, বিটিসিএলের অনেক সুবিধার কথা চিন্তা করেই সংযোগটি রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা এবং অনীহার কারণে বছরের পর বছর টেলিফোন সংযোগটি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
আব্দুল ওয়াহেদ আলী নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘বিটিসিএলের টেলিফোনটি কোনো কাজেই আসছে না। আবেদন করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফোনটি নিয়ে যন্ত্রণায় পড়েছি। বর্তমানে কতগুলো লাইন চালু আছে তা জানা যায়নি।’
তবে এক্সচেঞ্জের লাইনম্যান ফজলুল হক বলেন, ৫০০টি সংযোগের মধ্যে ৪৭৫টি বিকল হয়ে পড়ে আছে। সচল আছে মাত্র ২৫টি। এরমধ্যে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, বিজিবি, রেজিস্ট্রি অফিস, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সাধ্যমতো লাইন সচল রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে সংযোগ বন্ধ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের।
গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণকালে মাটির নিচের টেলিফোনের ক্যাবল কাটা পড়েছে। এজন্য সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়ী টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফোনের রিংটন বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা বা তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।