শরীয়তপুরে আগুনে পুড়ে ভাইবোনের মৃত্যু, দগ্ধ বড় বোন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুর ইউনিয়নে টিনশেড ঘরে আগুনে পুড়ে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ হয়েছে তাদের বড় বোন। তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশ্রাফ বেপারীর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত দুই শিশু হলো আরাফাত ও সামিয়া। আর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বড়বোন মিম।

সামিয়া ও আরাফাত ওই গ্রামের বাসিন্দা মনসুর ঢালীর সন্তান। সামিয়া স্থানীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি এবং ভাই দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহতদের চাচা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তারা ঘরে ঘুমাচ্ছিল। আর পাশের ঘরে তার মা নামাজ পড়ছিল। আমার ভাই বাজার থেকে এসে দেখে ঘরে আগুন জ্বলছে। কিন্তু ঘরে যে তার ছেলেমেয়েরা ঘুমাচ্ছিল সেটা তার জানা ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘আগুন নেভানোর চেষ্টার সময় তারা খাট থেকে লাফিয়ে পড়েছে। পরে আমরা আগুনের মধ্য দিয়েই তাদের উদ্ধার করি। তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।’

আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে কীভাবে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

স্বজনরা জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাদের শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর দুই শিশুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মধ্যরাতে প্রথমে আরাফাত পরে সামিয়া মারা যায়।

ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, আগুনে তিন ভাই-বোন দগ্ধ হলে তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজনকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় নিহত ওই দুই শিশুর পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।