রাজশাহী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:০৯ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৫৬ পিএম
র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিন।
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে। শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হল রুমে ‘রাজশাহীর সচেতন নগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন ‘হেরিটেজ রাজশাহী’র সভাপতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘প্রথমত এটি অপহরণ। যেহেতু মামলার এফআইআর হয়নি। তার আগেই জেসমিনকে আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে।’
আরও বলা হয়, ‘সুলতানা জেসমিনকে যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়, সেই স্থান আমরা পরিদর্শন করেছি। সেখানে মৃতের পরিবারের পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। জেসমিনের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, এদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানবাধিকার রক্ষায় উদাসীন। রাষ্ট্রযন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েও তা রক্ষায় বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সরকারি ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানার মৃত্যুর যথাযথ কারণ অনুসন্ধান ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন রাজশাহীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত বেগ প্রমুখ।
প্রধান আসামি আলামিন গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এনামুল হক সুলতানা ও আল আমিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নগরীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন। যার প্রধান আসামি এই আল আমিন। তিনি একটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। রাজধানীর মালিবাগে তার দোকান আছে। সেই দোকান থেকে গত বুধবার তাকে আটক করে র্যাব-৩। পরে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে স্থানীয় ঢাকার শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, ৫৪ ধারায় আসামি আলামিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আল আমিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
আলামিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এনামুল হকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিভিন্নজনকে চাকরি দেওয়ার নামে। তিনি সুলতানার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকাগুলো লেনদেন করেন।