× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভিজিডি প্রকল্পে সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১১:১৪ এএম

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৮ এএম

ভিজিডি প্রকল্পে সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ

রাজবাড়ী সদরের মূলঘর ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভিজিডি চাল বিতরণে সরকারি সঞ্চয় হিসেবে ২২০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা করে।

জানা গেছে, চলতি বছর জেলার ৪২টি ইউনিয়নে হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২ বছর মেয়াদি নতুন তালিকা করে উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়। মূলঘর ইউনিয়নে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের চাল বিতরণ করা হয়।

প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পান কার্ডধারী উপকারভোগীরা। কিন্তু এ চাল বিতরণে উপকারভোগীদের কাছ থেকে সরকারি নিয়ম না মেনে ২২০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। উপকারভোগীরা এই বাড়তি টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। 

উপকারভোগীরা জানান, অতিরিক্ত ৩০ টাকা চাল আনার খরচ (পরিবহন খরচ) হিসেবে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য অনেকেই জানেন না তাদের কাছ থেকে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে। 

মূলঘর ইউনিয়নে ভিজিডি গ্রাহকের সংখ্যা ১৬৪ জন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ টাকা বেশি নিলে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৯২০ টাকা। যদি অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বন্ধ না হয়, তাহলে বছরে ৯৫ হাজার ৪০ টাকা বেশি নেওয়া হবে গ্রাহকদের কাছ থেকে। আর দুই বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাকে চাল বিতরণের বিষয়টি জানাননি।

মূলঘর ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামের লোকমান শেখের স্ত্রী ভিজিডি উপকারভোগী জুলেখা বেগম বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত তিনবার চাল নিয়েছি, আমার কাছ থেকে প্রতিবারই ২৫০ টাকা করে নিয়েছে। কিন্তু আমার সঞ্চয় বইতে ২২০ টাকা জমা করেছে।’ 

তার মতো আরও একজন গ্রাহক বালিয়াডাঙ্গীর শান্তি আক্তার ভিজিডির চাল নিতে আসেন, কিন্তু প্রতিবারই তার কাছ থেকে ২২০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ৩০ টাকা তারা চালের খরচ নেয় বলে জানান তিনি।

এ ইউনিয়নের গ্রাহক ছালেহা বেগম, খোদেজা বেগম, বাঘিয়ার ইব্রাহিম শেখসহ আরও অনেক গ্রাহক ভিজিডি চাল আনতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে মূলঘর ইউনিয়ন সচিব আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি চাল বিতরণ করছি না। চেয়ারম্যান নিজেই চাল বিতরণ করেন, টাকা বেশি নেন কি না আমি জানি না।’

মূলঘর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামানকে অতিরিক্ত ৩০ টাকা করে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি প্রথমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য বলেন, আগের চেয়ারম্যান নিতেন, তাই তারাও নিচ্ছেন। 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা বলেন, ‘কোন যুক্তিতে, কার নির্দেশনায় চেয়ারম্যান ভিজিডি গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন, সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। চেয়ারম্যানকে ডেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা