রাজশাহী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৩ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এলাকাবাসীর পিটুনির শিকার হয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরমএপি) এক সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)।
নগরীর রাজপাড়া থানাধীন ডিঙ্গাডোবা এলাকায় বুধবার (৩০ মার্চ) রাতের এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই এসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই এসআইয়ের নাম শহিদুল্লা কায়সার। তিনি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন, শিরোইল নিউ কলোনি এলাকার মো. লাদেন ও দাশপুকুর এলাকার ইমরান হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে বোয়ালিয়া থানার শিরোইল নিউ কলোনি এলাকার তিন যুববকে ছিন্তাইকারী সন্দেহে আটক করে রাজপাড়া থানাধীন ডিঙ্গাডোবা এলাকার পাঠারমোড়ে এলাকাবাসী। পরে ক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি মারপিট করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বোয়ালিয়া থানার শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শহিদুল্লা কায়সার। তিনি সন্দেহভাজন ওই তিন ছিনতাইকারীর পক্ষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বলেন।
পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এসআই শহিদুল্লা কায়সারকে ছিনতাইকারীদের সহযোগী মনে করে তাকেও মারপিট করে। এ সময় তিন সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীর মধ্যে দুইজন পালিয়ে যান। পরে রাজপাড়া পুলিশ সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এসআই শহিদুল্লাকে উদ্ধার করে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে থাকায় কথা হয় থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে আরএমপির মিডিয়া উইংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এসআই শহিদুল্লা কায়সারের মোবাইল নম্বরের জন্য বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসার শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শহিদুল্লার নম্বর দিতে অপারগতা জানান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা কথা বলতে নিষেধ করেছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’
বোয়ালিয়া থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) হোসেন সোহরাওয়ার্দী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর শিরোইল ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল্লা কায়সারকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুইজনকে।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও এডিসি রফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজ এলাকার বাইরে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।