লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৫:২০ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বহিভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গৃহবধূ রৌশন আক্তার লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় ইসমাইল হোসেন সুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। ইসমাইল হোসেন বর্তমানে পালাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ আরেক আসামি সুরমা আক্তার সুমিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ইসমাইল হোসেন সুজন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ঘরোয়ার বাড়ির বাসিন্দা। খালাস পাওয়া সুমি একই এলাকার মো. সুমনের স্ত্রী।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুজন জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। খালাস পাওয়া সুমি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে জসিম উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে সুজনের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ধীতপুর গ্রামের লিপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপি জানতে পারেন তার স্বামীর এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে সুজন ও লিপির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
২০২০ সালের ২ মে সকালে একই বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে দুপুরে লিপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন সুজন। লিপি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন তিনি।
এ ঘটনায় ওই দিনই লিপির মা আলেয়া চন্দ্রগঞ্জ থানায় সুজন ও সুমির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যার সত্যতা পাওয়া যায়।
২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম সুজন ও সুমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সুজনকে যাবজ্জীবন ও সুমিকে খালাস দেন।