আল খায়ের ফাউন্ডেশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের উদ্যোগে
গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
‘ত্যাল, নুন, চাল, ডাল, চিনি সগে পালাম। আল্লাহ তোমাক ভালো করবে বাবা। হামার আর রমজান থাকি ঈদের দিনের খাওয়ার চিন্তা নাই।’ আল খায়ের ফাউন্ডেশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের পাঠক ফোরাম ‘অদম্য বাংলাদেশ’-এর যৌথ উদ্যোগে রমজান মাস উপলক্ষে খাদ্যসহায়তা পেয়ে এভাবেই অভিব্যক্তি জানান গাইবান্ধার সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামের জাহেদা বেগম।
বুধবার (২৯ মার্চ) তিনিসহ জেলার দুইশতাধিক পরিবার খাদ্যসহায়তা পেয়েছে।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল লবন, চিনি, গুড়াদুধ, খেজুর, ট্যাং, মসুর ডাল, ছোলা, বুট, ২ লিটার তেল, মরিচের গুড়া, হলুদের পাকেট, ১৫ কেজি চাল, আটাসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য।
জেলার শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরিফুল আলম। অতিথি ছিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ সজিব, প্রতিদিনের বাংলাদেশের গাইবান্ধা প্রতিবেদক মোস্তফা আবু বক্কর সিদ্দিক আলম, একুশে টেলিভিনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আফরোজা লুনা, মানবাধিকারকর্মী অঞ্চলী রানী দেবী, সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিকসহ অন্যরা।
খাদ্যসহায়তা পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দুই প্রতিবন্ধি সন্তানের জননী শহরের মুন্সিপাড়ার রশিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘দুই হাত উপড়ে তুলি কয় আল্লাহ হামাক দয়া করচে,বাবা হামরা জীবনেও এমন সাহায্য পাই নাই। দুই প্রতিবন্ধিসহ ৪ জনের সংসার হামার। দোকানত যেদিন আটার রুটি ব্যাচা হয় সেদিন তিন বেলা খাবার জোটে। স্বামী-স্ত্রী রাস্তার পাশে আটার রুটি বিক্রি করি। লাভ যা হয় তাতে সংসারে তিন বেলা ভালো খাবার তো জোটে না। প্রতিবন্ধি বাচ্চাগুলাকো এ্যানা বুন্দা খিলাবার পাই না। কিন্তু এতো বড় বাক্স ভতি ত্যাল, নুন, চিনি, দুধ, খেজুর আর চালের বস্তা দেখে মনটা ভরি দেঘে। এখন এ্যাগলা দিয়া রোজার মাসটা ভালো ভাবেই চলি যাবে। কোন চিন্তা নাই। হামরা তোমার পেপারের জন্য দোয়া করমো, তোমার জন্য দোয়া করমো বাবা। আল্লায় তোমাক ভালো করবে বাবা।’
আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ সজিব বলেন, যতটুকু সম্ভব হয়েছে আমরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহযোগিতা করতে এসেছি। সাধ্যমতো করে যাব। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।