প্রবাসীর পরিবারকে নির্যাতন
কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৮:০২ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম এবং এএসআই মো. মাসুদ রানা। প্রবা ফটো
কুমিল্লার হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক সৌদিপ্রবাসী। ২৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসী ও তার পরিবারের তিনজনকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন ও মুচলেকা রাখার অভিযোগ এনে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম, এএসআই মো. মাসুদ রানা এবং থানার দালাল মো. আনোয়ারের নামে এ মামলা করা হয়। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলি আদালতে সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদিপ্রবাসী অপু মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মামলার বাদী নিজ নামে সৌদি থেকে ক্রয়কৃত কয়েক ভরি স্বর্ণ ট্যাক্স ও শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনের ব্যবহারের জন্য দেশে নিয়ে আসেন। প্রবাসী অপু দেশে আসার পর থেকেই থানার কথিত দালাল আনোয়ারের মাধ্যমে পুলিশ ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১৯ মার্চ থানার এএসআই মাসুদ রানা ও দালাল আনোয়ারের সহযোগিতায় প্রবাসী অপু ও তার বড় দুই ভাই ইউসুফ এবং ইউনুসকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানা হাজতে আটকে রাখে ও দফায় দফায় নির্যাতন করে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকাও রাখা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন। এ ছাড়া ইউসুফের পাসপোর্ট, ভিসা ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মোটরসাইকেল রেখে দেয় পুলিশ। পরে তার বোন জামাই রুবেলকে আটক করা হয়। ২ লাখ টাকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় এনে নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়। অপু অন্য প্রবাসীর স্বর্ণ আত্মসাৎ করেছেন বলে একটি অভিযোগ পাই। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনি। সেই আক্রোশে এই মামলা দিয়ে থাকতে পারে।’
ওসি আরও বলেন, ‘নাইম ভূঁইয়া নামে এক সৌদিপ্রবাসী অপুর বিরুদ্ধে হোমনা থানায় অভিযোগ করেন। নাইমের অভিযোগ, তিনি অপুর হাতে ২৭ ভরি স্বর্ণ পাঠালেও তিনি নাইমের ঠিকানায় পৌঁছে দেননি। নাইমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়।’
হোমনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মহসিন বলেন, ‘এক প্রবাসী কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিল বাড়িতে। অপু নামের একজন সেই স্বর্ণ ঠিকানা মোতাবেক পৌঁছে দেননি। পরে ওই প্রবাসীর অভিযোগে অপুর বড় ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সম্ভবত তাই অপু ক্ষিপ্ত হয়ে হোমনা থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।’