রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১২:১৬ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৩ পিএম
রূপগঞ্জের উপজেলা পরিষদ থেকে মাছিমপুর পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে চলছে সংস্কারকাজ। প্রবা ফটো
শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে মাছিমপুর পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে চলছে সংস্কারকাজ। এতে সড়কটিতে দুর্ঘটনা বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এর আগে খানাখন্দে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। পরে স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের প্রথম দিকে উপজেলা এলজিইডির অধীনে ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি ২৪ ফুট প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরিকল্পনাহীনভাবে কাজ করায় সড়কের মাঝখানে খুঁটি থেকে গেছে। এতে ওই সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সড়কটি নির্মাণে বরাদ্দ পেয়েছে হাবিবুর রহমান হাবিবের মালিকানাধীন আছিফ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়কের কাজ শুরু করে। সড়কটিতে ৮-১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে।
সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকায় অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলে সমস্যার মুখে পড়ছে। ট্রাকসহ বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে স্থানীয়রা মালামাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ছেন।
বর্তমানে সড়কটির নির্মাণকাজের বক্স-কাটিং শেষে ইটের খোয়া ফেলে রোলার দিয়ে সমান করার কাজ প্রায় শেষ দিকে। রাস্তা নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে খুঁটিগুলো অপসারণ করা সম্ভব হবে না। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে স্থানীয়দের দাবি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার পাশে ছিল। এতে চলাচলে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন রাস্তা বড় করায় খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম আহমেদ বলেন, সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। তবে বৈদ্যুতিক খুঁটি এখনই সরানো উচিত। সব কাজের আগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ সড়কে যা হচ্ছে তা পরিকল্পনাহীন। কাজ শেষে কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যাবে, অন্যদিকে নানা অজুহাত তৈরি করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। শেষ পর্যন্ত খুঁটিগুলো রয়ে যাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা রীনা আক্তার বলেন, রাস্তা বড় হচ্ছে আমাদের সুবিধার জন্য। কিন্তু খুঁটি রেখে এ কেমন সুবিধা দেওয়া হলো তা বোধগম্য হচ্ছে না। প্রয়োজনে নির্বিঘ্নে যানবাহন নিয়ে চলাচল করার অসুবিধাসহ এ সড়ক এখন উল্টো ক্ষতির কারণ হবে। সড়ক বড় হলে এলাকার উন্নয়নের জন্য ট্রাকের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারবে। কিন্তু রাস্তার মাঝে খুঁটি থাকলে তা সম্ভব হবে না।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন বলেন, খুঁটিগুলো সরানোর জন্য স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য কয়েকটি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি রাস্তার খুঁটি সরানো হয়েছে। উপজেলা থেকে মাছিমপুর সড়কের খুঁটিও সরে যাবে।