বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ০০:২৩ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৭ এএম
সংগৃহীত ছবি
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে তারাবি নামাজের সময় ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন নয়জন।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ষোলনল ইউপি চেয়ারম্যান হাজী বিল্লাল হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে মো. সেলিম, মরহুম হারিজ মিয়ার ছেলে আরিফ, আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি, জনি, কাফি, আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল হাসেম নবি ও আব্দুল মুনাফের স্ত্রী নিলুফা বেগম। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়ার আব্দুল মুনাফ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা ও মসজিদের ইমাম মাওলানা ফেরদৌসের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। চলতি রমজানের তারাবি নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন মাওলানা ফেরদৌস। তিনি বুড়িচং মডেল স্কুলের শিক্ষক।
আব্দুল মুনাফ মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার তারাবির আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আলোচনা করেন ইমাম। এমন আলোচনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি, জনি, কাফিসহ আরও কয়েকজন মুসল্লি। তখন মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের উত্তেজনা দেখা দিলে প্রতিবাদকারীরা বাড়ি চলে যান।
নামাজ শেষে রাতেই ইমাম ফেরদৌসের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মুনাফের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের নয়জন গুরুতর আহত হন।
মসজিদের ইমাম মাওলানা ফেরদৌস বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মসজিদে আমি আলোচনা করিনি। ধর্মীয় বিষয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় ওরা আমার আলোচনাকে নিজেদের গায়ে লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করে পরিবেশ ঘোলাটে করলে মুসল্লিদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে আহত হন কবির হোসেন, মাহবুব, জাহাঙ্গীর, ইসহাক, হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
মুনাফ মিয়ার স্ত্রী ও ছেলেরা জানান, মসজিদের ইমাম হামলা চালিয়ে থেমে যাননি। আজ দিনেও তিনি কুমিল্লা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তাদের ফার্নিচার দোকানে ভাঙচুর করেছেন। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের সঠিক বিচারও চাচ্ছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে মসজিদের সভাপতি হাজী মো. আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার কারণ বলতে রাজি হননি।
ষোলনল ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা জেনে মীমাংসার জন্য উভয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসব।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।