চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
কদমতলী-দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন চসিক)মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ে আর কোনো কাচা সড়ক থাকবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীকে উপহার হিসেবে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। যার সব টাকাই সরকার প্রদান করবে। এই টাকার প্রকল্পসহ চলমান সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীতে আর কোনো কাচা সড়ক থাকবে না। চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগের মান বাড়াতে নতুন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়কগুলোর সংস্কারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) মহানগরীর ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কদমতলী-দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার সংস্কারকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এই ফ্লাইওভারটি সংস্কারে ব্যয় হচ্ছে এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
উন্নয়নের সুফলকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ চলছে জানিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের অলিগলি ও পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোতে নালা নির্মাণ ও সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। গৃহকর নিয়ে আতংকিত না হয়ে আপিল করলে গৃহকর সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করে দিচ্ছি। আপনাদের দেওয়া করের টাকায় গড়ব তিলোত্তমা চট্টগ্রাম। এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভবিষ্যতে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বড় বড় বিনিয়োগ আসবে। ফলে, একদিকে চট্টগ্রামের বেকারত্বের সমস্যার সমাধান হবে অন্যদিকে চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে বিশ্ববাণিজ্যের হাব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক নগরী। বাণিজ্য সম্প্রসারণে উন্নত সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থা জরুরি বিধায় আমি নতুন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়ক সংস্কারে জোর দিচ্ছি। এই ফ্লাইওভারটির পাশাপাশি এই এলাকার সব সড়ক আমার মেয়াদেই সংস্কার করা হবে। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। এ কাজগুলো শেষ হলে ওয়ার্ডের কোনো সড়ক অসম্পন্ন থাকবে না।
মেয়রের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, বিপ্লব দাশ, উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস কাজেমী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান মহসিন, মো. ইব্রাহিম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল শুক্কুর চৌধুরী প্রমুখ।