চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ০০:৩৯ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১১:২৪ এএম
সংগৃহীত ফটো
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় টাকা নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া ও ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাবের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন আনোয়ারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, দুই কনস্টেবল মোহাম্মদ রিয়াজ ও মুজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় থানার সব কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং দায়িত্বে অবহেলা বা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রকি নামে প্রেমিকের সঙ্গে পারকি সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যায় এক কিশোরী। সেখান থেকে পূর্ব সিংহরা ইছমতি এলাকায় গেলে রকিসহ তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও রকি যেতে পারেনি। এএসআই ওমর ফারুক ওই কিশোরীসহ তাকে আটক করের। দুই ঘণ্টা পর ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
কিশোরীর বড় ভাই জানান, ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এর আগে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সঙ্গে ১ লাখ টাকায় সমঝোতার চেষ্টা করে। সমঝোতা না করায় পুলিশ কিশোরীকে থানায় নিয়ে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শনিবার রকিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করায়।
এ ঘটনায় বুধবার অভিযুক্ত পলাশ, শীংপকর ও চন্দনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।