প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ০০:২০ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ০০:২১ এএম
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। সংগৃহীত ফটো
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়া উম্মে কুলসুম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি রয়েছে তার ১০ দিন বয়সী নবজাতক পুত্রসন্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান কুলসুম। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর শ্বাসনালীসহ শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তান হয় তার।
ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, শিশুটি ম্যাচিউড না হওয়ায় ওজন দেড় কেজি। কিছুটা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তার। এখানে এনআইসিইউ না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে খন্দকার ম্যানশনের ১০ তলা ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফ্ল্যাটে আগুন ধরে যায়। এ সময় সেখানকার বাসিন্দা মাসুদ পাটোয়ারীর স্ত্রী কুলসুম আক্তার ও তার তিন বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ খালিদ দগ্ধ হয়। রাতেই তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুলসুমের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, তিনি ফতুল্লায় ব্যবসা করেন। ঘটনার সময় তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, আগুনে কুলসুমের বড় ছেলে তিন বছরের খালিদের মুখমণ্ডলসহ শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও তার মাকে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুমের মৃত্যু হয়।