রাজশাহী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৯:৫৪ পিএম
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ। প্রবা ফটো
রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ও গুজব প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রমজান মাস উপলক্ষ্যে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জাফরউল্লাহ বলেন, ‘সামনে রমজান মাস, এ মাসে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সভা করতে হয়। পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশে তা করতে হয় না। অন্যান্য মুসলিম দেশের মানুষ জানে রমজান মাস এলে পণ্যের দাম কমবে। আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়ায়। তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আবার অনেক সময় দেখা যায়, দাম বাড়বে এই ভয়ে অনেকে চাহিদার বেশি পণ্য কিনে থাকে। এর ফলে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি হয়। এ কারণে অনেক সময় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। এ জন্য গুজব প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে। এখন খেয়াল রাখতে হবে, গুজবের কারণে যেন পিছিয়ে না পড়ি। এটা সঠিকভাবে চললে ২০৪১ সালের আগেই আমরা গন্তব্যে পৌঁছে যাব।’
খাদ্যঘাটতি নিয়ে বিভিন্ন সময় গুজব ছড়ানো হয় উল্লেখ করে জাফরউল্লাহ বলেন, চালসহ যথেষ্ট খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে; যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ গুজবের মাধ্যমে ছড়ানো হয় বাংলাদেশে খাদ্যঘাটতি রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুজব প্রতিরোধের গুরুত্ব উল্লেখ করে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের সুচিন্তিত মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্মার্ট বাংলাদেশ ও গুজব প্রতিরোধ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও রাজশাহীর উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) এ এন এম মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (আইসিটি) ড. মো. মোকছেদ আলী।