বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ২২:০৮ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ২২:১৭ পিএম
করতোয়া নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) বিরুদ্ধে। প্রবা ফটো।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ভরাট করে ফের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মম ইন ইকোপার্কের ভেতরে তিন শতাধিক নারী শ্রমিক মাটি কাটার কাজে অংশ নেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে যান বগুড়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম রেজা। এ সময় সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা, র্যাব, এপিবিএন ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে পরিদর্শন শেষে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।
স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা এখানে গোসল করতাম। পেপার মিলের বর্জ্য ফেলার কারণে নদী মারা গেছে। যেটুকু নদীর অস্তিত্ব আছে সেটিও টিএমএসএস দখল করে বেআইনিভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে। চোখের সামনে করতোয়ার মরণ দেখছি আমরা।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রুমি বলেন, ‘গতকাল জরিমানা করা সত্ত্বেও আজ সকাল থেকে তিন শতাধিক নারী শ্রমিক এখানে মাটি কাটার কাজ করেন। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা আমাদের কোনো কথা শোনেন না। বরং আমাদের উল্টো নানাভাবে হুমকি দেয়।’
ফের মাটি কাটা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। তিনি দাবি করেছেন, আজ যেখানে মাটি কাটার কাজ হয়েছে সেটি টিএমএসএসের জায়গা। তবে আমরা বলেছি, ওই স্থানে ফের পরিমাপ করা হবে। যদি প্রমাণ হয় নদীর জায়গায় কাজ করছেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নদীর জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে, তা অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।’
এর আগে সোমবার দুপুরে নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে নদীর ওপর রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও ফিরোজা পারভীন। পরে জরিমানা পরিশোধ না করায় টিএমএসএসের মালিকানাধীন মম ইন ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলাম জাকিকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।