শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ২১:৫১ পিএম
ফাইল ছবি
এর আগেও ইমাদ পরিবহন পিষে মেরেছিল পাঁচজনকে, যারা তখন মহাসড়কে দুর্ঘটনায় পড়া প্রাইভেট কারের যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতের সেই ঘটনায় বেপরোয়া গতির জন্য চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নিহতদের এক স্বজন। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় হয়। বাদী মামলা তুলে নেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেস হাইওয়েতে মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ সেতুর কাছে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারকে পেছন থেকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুঘর্টনার বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে উদ্ধারকারীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন আর স্থানীয় পাচ্চর রয়েল হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যান। তাছাড়া আহত কয়েকজনের মধ্যে একজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত রবিবার ইমাদ পরিবহনের একটি বাস সেই একই সড়কের একই এলাকায় রাস্তা থেকে উল্টে খাদে পড়ে। এতে মারা যান ১৯ জন। আহত হন আরও অন্তত ২৫ জন। দুর্ঘটনার পর ইমাদ পরিবহনের এই বাসের ফিটনেস নেই বলে খবর আসে। এ ঘটনায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, তারা মাঠপর্যায়ের কাজ শেষ করেছেন। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার কথা। একই বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
থামেনি বেপরোয়া গতি
১৯ জন নিহত হওয়ার পরও ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস হাইওয়েতে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের খবর আসছে। শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাইম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, গতিসীমা লংঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি মামলা হয়েছে। সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২১টি। এছাড়া অন্য বিভিন্ন অপরাধেও কিছু মামলা হয়েছে তাদের থানায়।