মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
দূষণ, পরিকল্পিত আগুনসহ প্রভাবশালীদের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধনে বনজীবীরা। প্রবা ফটো
প্রভাবশালী মহলের অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্পদূষণে আক্রান্ত হচ্ছে সুন্দরবন। এ ছাড়া বিষ প্রয়োগে মৎস্য নিধন, পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ও বন্যপ্রাণী হত্যা এবং প্লাস্টিকদূষণে বিপর্যস্ত সুন্দরবন।
পশুর নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও জাহাজি বর্জ্য ফেলা, কয়লা এবং তেলবাহী জাহাজডুবির মাধ্যমেও সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য হুমকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের ফুসফুস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে বনজীবীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
‘করব বন সংরক্ষণ, সুস্থ থাকব সারাক্ষণ’ স্লোগানে এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রীয় নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নূর আলম শেখ।
এ সময় বক্তব্য দেন বাপা নেতা ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টিম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা শেখ রাসেল, বাপা নেতা হাছিব সরদার, বনজীবী স্টিফেন হালদার, বনজীবী বেল্লাল বেপারী, বনজীবী সাথী আদিত্য, মধুসূদন মণ্ডল, বনজীবী লিপি বেগম, বনজীবী কল্পনা সরদার, বনজীবী তরুণ মণ্ডল, বনজীবী লিপি বেগম, বনজীবী তপন মণ্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুরো সুন্দরবন ও সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদী প্লাস্টিকে সয়লাব হয়ে গেছে। গবেষণায় সুন্দরবনের মাছে ক্ষতিকর মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। গত ২০ বছরে ২৪ বার অগ্নিকাণ্ডে ৭১ একর বনভূমি পুড়ে ছাই হয়েছে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহল মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে এসব পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ঘটাচ্ছে।
সুন্দরবন রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বন রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরগুলো যদি দায়িত্ব পালনে সততা-নিষ্ঠা-দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেয় এবং তারা যদি প্রকৃতিপ্রেমিক না হয় তাহলে অচিরেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মানববন্ধন থেকে বলেন বক্তারা।
সুন্দরবন রক্ষা করা না গেলে শুধু উপকূল নয়, পুরো দেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানান তারা।