নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ২২:১৬ পিএম
ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। প্রবা ফটো
মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধির বড় উপায় বেশি বেশি বই পড়া বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, বই পড়লে ব্রেইনের ব্যবহার হয়। বই পড়লে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না।
শনিবার (১৮ মার্চ) কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাব আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী কেন্দুয়া বই মেলা-২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মুনসুর, কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন, ওসি মো. আলী হোসেন পিপিএম, লোক সাহিত্য সংগ্রাহক ছড়াকার জাহাঙ্গীর আলম জাহান।
মো. নুরুল ইসলাম রচিত ‘রাশেদের প্রেম ও রাজনীতি’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করেন জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আসাদুল করিম মামুন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লাইমুন হোসেন ভূঞা।
জাফর ইকবাল বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দময় পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষক মন্ডলীর। কোনো শিক্ষার্থীর চিন্তা, চেতনা, মেধা, মনন কেমন তা মা-বাবার চেয়ে শিক্ষকরাই বেশি জানেন। তাই একজন শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদেরকে আরও যত্মবান, আন্তরিক ও দায়িত্ববান হতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্ম একনিষ্ঠভাবে এগিয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আনন্দময় পড়াশোনার জন্য ইতিমধ্যে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পদ্ধতি চালু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আরও বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিজ্ঞানে অজ্ঞযাত্রার কথা উল্লেখ করে শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল দৃঢ়তার সংঙ্গে বলেন, ২০৪১ সালে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকেও শক্তিশালী হবে বাংলাদেশ। সে সময়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য ছুটে আসতে হবে।
এর আগে দুপুরে কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে সুধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন জাফর ইকবাল।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, পালানাট্যকার রাখাল বিশ্বাস, কবি আয়েস উদ্দিন ভূঞা, কবি ও ছড়াকার জিয়াউর রহমান জীবন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান ভূঞা প্রমুখ।
সভায় কেন্দুয়া উপজেলা সদরে হুমায়ুন আহম্মেদ লোক সংস্কৃতি একাডেমি স্থাপনে জোর দাবি জানানো হয়। বিকালে পালাগান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট লোক সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল কুদ্দুছ বয়াতী।