বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৯ এএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১১:২৭ এএম
নির্বাচন কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুই পক্ষে দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রবা ফটো
বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাসের সইয়ে এক অফিস আদেশে শনিবারের (১৮ মার্চ) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, ‘যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০২২ সালে স্থগিত হওয়া এ নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল আজ শনিবার (১৮ মার্চ)। এতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা।
কিন্তু প্রচারের শেষ সময়ে এসে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে ৬০০ নতুন সদস্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এ নির্বাচনেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়; যা নিয়ে আগে থেকেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। আদেশের পর তা উত্তাপে রূপ নেয়।
নির্বাচন কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে দুই দিনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হন ১০-১৫ জন।
এ ছাড়া পুনরায় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবির গ্রুপ।
এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করে। পদত্যাগপত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এমএ জলিলসহ দুই নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষর রয়েছে।