চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম
সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টু। সংগৃহীত ফটো
কোমরে দড়ি বেঁধে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে অপমানের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।
পারভেজ উদ্দিনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা হবে বলে শুক্রবার (১৭ মার্চ) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘বিকাল ৪টায় বিএসবিআরএ কার্যালয়ে আমাদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বসার কথা রয়েছে। বৈঠকে সমাধান পাওয়া গেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে।’
আবু তাহের জানান, সীতাকুণ্ডে সব মিলিয়ে ১৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহতদের ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোট ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে মালিকপক্ষ। এরপরও সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা কেন করা হলো তা বোধগম্য নয়। এ কারখানা থেকে কোভিডকালে বিনামূল্যে হাজার হাজার সিলিন্ডার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল।
সংগঠনটির সদস্য ও সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালককে গ্রেপ্তার এবং কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আবু তাহের।
৪ মার্চ বিকালে কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সাতজন নিহত হয়। ৬ মার্চ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের তিন পরিচালকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা করেন আহত এক শ্রমিকের স্বজন। মামলাটি তদন্ত করছে শিল্প পুলিশ।
১৪ মার্চ রাতে নগরের জিইসি মোড় থেকে পারভেজ উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম ইউনিট। বুধবার তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করে শিল্প পুলিশ। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প পুলিশের এক উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।