চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরণে মালিকপক্ষের গাফিলতি পেয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সংগৃহীত ফটো
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরণে মালিকপক্ষের গাফিলতি পেয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে ৯ সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান।
প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিব হাসান বলেন, ’অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা দেশে এই প্রথম। গত এক দশকে সারা পৃথিবীতে এ ধরনের দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত কমিটি গঠনের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। তদন্তে সঠিক তথ্য ও কারণ তুলে ধরতে আমরা সবাই একাধিকবার ঘটনাস্থলে গেছি। কারখানার বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে এনে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছি। তদন্তে প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পাওয়া গেছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য প্রতিবেদনে ৯ দফা সুপারিশ করেছি। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বাকি সুপারিশ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। আগামী ২০ মার্চ চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসন কর্মশালার আয়োজন করছে।’
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। প্রতিবেদনটি সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। এজন্য বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ে পৌঁছার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিবেদনের বিষযে বিস্তারিত জানানো হবে।’
৪ মার্চ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট কারখানায় বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু এবং ২১ জন আহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্প ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি রাখা হয়।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার দুদিন পর ৬ মার্চ রাতে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুন উদ্দিন, পরিচালক পারভেজ হোসেনসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।