রাজশাহী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮ পিএম
মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আদালতে জমা পড়েছে। রাজশাহীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ও জেলা দায়রা জজ আদালতে গত ৬ মার্চ অভিযোগ করেন ওই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক। মেয়র বলছেন, বিশেষ সুবিধা আদায় করতে না পেরে কাউন্সিলর মিথ্যচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাদীপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশের কাছে দাবি করেন, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়টি যাচাই করা যায়নি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ দায়িত্ব পালনের সময় বিধি-বিধান ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সামাজিক উন্নয়নের নামে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মেয়র টেন্ডার আহ্বান না করে ভুয়া কোটেশন দেখিয়ে ইচ্ছে মতো বিল-ভাউচার বানিয়ে ২৬ লাখ টাকা লোপাট করেছেন। এ ছাড়া কেশরহাট থেকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ আদায় হলেও মেয়র সেই অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া নানাভাবে তিনি কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান বলেন, ‘যারা অভিযোগ করছে তারা প্রত্যেকেই বিএনপিপন্থি। তারা কখনও বলছে ২৭ কোটি, কখনও বলছে ১৭ কোটি আত্মসাত করেছি। তারা পৌসভার সভায় ঠিকমতো উপস্থিত থাকে না। থাকলেও সভা বইতে সই করে না। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত। অথচ তারা সরকারের দেওয়া ভাতা সুবিধা ঠিকই ভোগ করছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র বলেন, ‘অভিযোগকারী কাউন্সিলররা পৌরসভার কাছ থেকে অবৈধভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধা দাবি করে আসছে। তবে তাদেরকে সে সুযোগ না দেওয়ায় তারা অভিযোগ ও মামলার ভয় দেখায়।’
এরআগে ২৫ জানুয়ারি কেশরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের একরামুল হকসহ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবের, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাফিজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল আক্তার কাউন্সিলর মেয়র শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।