চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:১১ পিএম
পুরানো ছবি
চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন সোমবার (১৩ মার্চ) এ আদেশ দেন। এরমধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হল। এবার আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী বাবুলই এ মামলা করেছিলেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর আগে আদালত থেকে আসামি বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে হাজির হন। আর ঘটনার পর থেকে মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা এবং খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু পলাতক রয়েছেন।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবদুর রশিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলায় দুই পক্ষের শুনানি শেষে সাত আসমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৯ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন আদালত।
বাবুলের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা আদালতে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়াসহ তিনটি বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত একটি আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে। বাকি দুটির ওপর শুনানি হয়েছে। দুপুরে শুনানির পর বিকেলে চারটার কিছু সময় পর আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়।’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের কথা ছিল। কিন্তু আসামিকে আদালতে হাজির না করায় সেদিন অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। এরআগে গত ৩১ জানুয়ারি মিতু হত্যায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগম বিচার শুরুর নির্দেশনা দিয়ে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল ১১ জানুয়ারি। ওইদিন মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আবদুল হালিম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বিচারিক আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসির মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মারা যান মাহমুদা খানম মিতু। সেদিনের ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই মামলা তদন্ত পর্যায়ে পিবিআই জানতে পারে হত্যাকা-ের সঙ্গে বাবুল আক্তার জড়িত। এরপর বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন। শেষ পর্যন্ত তিনি অন্য আসামদিরে সঙ্গে বিচারের মুখোমুখি হলেন।