সাভার (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৬:১১ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৫ পিএম
পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান। প্রবা ফটো
‘আমি একটু গাঁজা খাই তো। দুটা পোঁটলা গাঁজা পেয়েছিল পুলিশ। এই দুই পোঁটলা গাঁজার জন্য আমার কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নিয়েছে সাভার থানার এএসআই কামরুজ্জামান। আমার স্ত্রীর কাছে টাকাগুলো ছিল। তার কাছ থেকেই টাকাগুলো নেয়। টাকা নেওয়ার পর আমাদের স্বীকারোক্তি নিয়েছে, তারা আমাদের থেকে কিছু নেননি। এটা মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন। আমার বালিশের নিচে দুই পোঁটলায় আনুমানিক ৪ গ্রাম গাঁজা পেয়েছিল। কোনো সোর্স নাকি তার কাছে বলেছিল আমার কাছে মাদক আছে। পরে তারা এসে গাঁজা উদ্ধার করে টাকা নিয়ে যান।’ কথাগুলো বলছিলেন রেজাউল নামে এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ, এএসআই কামরুজ্জামান তার থেকে টাকা নিয়েছিলেন।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। এবং তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সাভারের রাজাশন এলাকার রেজাউলের বাসায় যান সাভার মডেল থানার এএসআই কামরুজ্জামানসহ দুই পুলিশ সদস্য ও সোর্স তানি সেলিম। পরে রেজাউলের বালিশের নিচ থেকে দুই পোঁটলা গাঁজা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ১৬ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি।
পরিদর্শক নয়ন কারকুন বলেন, এএসআই কামরুজ্জামানকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। গাঁজা উদ্ধার করে টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে এ রকম সিদ্ধান্ত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন একটি অভিযোগেই তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালীন আর কাউকে কর্মস্থলে রাখা যায় না। গত ৫ মার্চ তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাব। অনেকেই ক্লোজ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন হচ্ছে।’