আশুলিয়ায় শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

আশুলিয়ায় একটি নর্দমা থেকে আট বছর বয়সি তানভীর ইসলাম নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার বিকালে আশুলিয়ার টংগাবাড়ি বটতলা আমান স্পিনিং মিলের পাশের একটি নর্দমা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রতেই টংগাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আনোয়ার হোসেন, মো. সাকিব হোসেন ও তামজিদ আহমেদ ওরফে রাফি।

নিহত শিশু তানভীর আশুলিয়ার টংগাবাড়ী এলাকার মসজিদের ইমাম মো. সোলায়মানের ছেলে। সোলায়মান কুমিল্লার বাসিন্দা। তানভীর টংগাবাড়ী এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত।

শিশু তানভীরের বাবা মো. সোলায়মান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শবেবরাতের নামাজ পড়ে মোনাজাত করার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আনোয়ার হোসেন মসজিদ থেকে তানভীরকে অপহরণ করে। এরপর আমার কাছে মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতে টাকা দিতে না পারায় তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

র‌্যাব জানায়, শিশু তানভীর নিখোঁজের পরের দিন বুধবার  শিশুটির বাবা আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এবং র‍্যাবে অভিযোগ করেন। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা সংবাদ আমলে নিয়ে র‌্যাবের একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাটির ছায়া তদন্তের পাশাপাশি অপহরকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। 

‘এরই মধ্যে আশুলিয়া থানাধীন টংগীবাড়ী এলাকায় একটি বস্তাবন্দি শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ শিশু তানভীর আহম্মেদের লাশ শনাক্ত ও হত্যায় জড়িতদের সম্পর্কে সুনিশ্চিত হয়ে মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও হত্যার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও এমন অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।