নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২০:২০ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২০:৩১ পিএম
নওগাঁর নিয়ামতপুরের রাওতাল গ্রামের একটি খাস পুকুর পাড়ের আমগাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রবা ফটো
নওগাঁর নিয়ামতপুরে খাসজমির ওপর পুকুর খননকাজের সময় চারটি আমগাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই গাছগুলোতে আমের মুকুল ছিল। বুধবার (৮ মার্চ) উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে এই ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল মৌজায় খাসজমির ওপর একটি পুকুর রয়েছে। তারই পাড়ে আমসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। পুকুরের খননকাজের সময় পূর্ব পাড়ের ৩টি আমগাছ কেটে ফেলা হয়। বাকি একটি গাছ কাটার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, পুকুরের পাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার খাস পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরটি বর্ধিত করতে গিয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো রাওতাল গ্রামের কাশেম আলীর নিকট ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। কাশেম আলী গাছগুলো শ্রমিক দিয়ে কেটে নিচ্ছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাটা গাছের গুঁড়ি, কাঠ, ডালপালা নিয়ে যাওয়া হয়নি।
ঘটনাস্থলে কাশেম আলী ও আব্দুস সাত্তার কাউকে পাওয়া যায়নি। গাছ কাটার শ্রমিক সোবহান আলী জানান, কার গাছ কে কাটছে আমরা বলতে পারব না। কাশেম আলী গাছ কাটার জন্য আমাদের ডেকে এনেছেন।
আব্দুস সাত্তারের পক্ষে তার ছেলে হাবিবুর রহমান জানান, গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তবে জায়গাটি সরকারের। এখানে পুকুর খনন করা হবে। তাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশ নিয়ে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।
স্থানীয় পাড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, তাদের কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নিয়ামতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী জানান, গাছ কাটার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।