প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩ ২১:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
ফাইল ছবি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই খাসিয়া পুঞ্জি থেকে সব ধরনের গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের ১৪ বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার (৬ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। বিবৃতিতে খাসিয়া পুঞ্জির খাসিয়া জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দাবিকৃত ভূমি ইজারামুক্ত করতে চা বাগানের সঙ্গে সরকারের ৪০ বছরের ইজারা চুক্তি সংশোধন, পুঞ্জি সংলগ্ন এলাকার গাছ রক্ষা, পুঞ্জিতে সববাস করা খাসিয়া জাতিগোষ্ঠীর ৭২টি পরিবারের ভূমি ও পানিপ্রপ্তি, চলাচল ও জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাসিয়াদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতি দেওয়া নাগরিকরা হলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবির, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও শালিস কেন্দ্রের সভাপতি জেড আই খান পান্না, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো. শামসুল হুদা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান লিটন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, কুবরাজ আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা এবং জাতীয় আদীবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সারেন।
বিবিৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ঝিমাইপুঞ্জির ভূমিতে থাকা খাসিয়া সম্প্রদায়ের অন্তত ২০৯৬টি গাছ কাটার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বেশকিছু প্রাচীন ও পরিপক্ব গাছ রয়েছে, যা কাটা হলে একদিকে যেমন পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে অন্যদিকে বৃক্ষনির্ভর খাসিয়া জনগোষ্ঠী হারাবে তাদের জীবিকা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বন্যপ্রাণী। ইতোপূর্বে হাইকোর্ট ঝিমাইপুঞ্জি থেকে অপরিপক্ব গাছ কাটা নিষিদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে আদালত একটি পরিপক্ক গাছ কাটার আগে একই প্রজাতির দুটি গাছ রোপণ ও রোপণকৃত গাছ তিন বছর সময় ধরে পরিচর্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা আদালতের নির্দেশ যথাযথ প্রতিপালন ব্যতীত গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানান।