ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ২৩:০২ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ০০:২৬ এএম
শনিবার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। প্রবা ফটো
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে এ হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ফাহমিদা আক্তার সাথী নামে এক গৃহবধূ। তিনি উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া গ্রামের মো. মোবারক হোসেনের স্ত্রী। মা ও সন্তান উভয় সুস্থ আছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার সময় অ্যানেস্থেসিস্ট (অবেদনিক প্রয়োগকারী) পদই সৃষ্টি করা হয়নি। তাই সেখানে এতদিন সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি। ফলে এলাকার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
প্রায় দুই যুগ পর ফেনীর ট্রমা সেন্টার থেকে একজন অ্যানেস্থেসিস্ট পেষনে দেওয়া হলে শনিবার প্রথম এ অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারে কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, ‘দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছে। কাজটি জটিল ছিল। কারণ, অন্তঃসত্ত্বার গর্ভের সন্তানের পানি শুন্যতা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। মা ও সন্তান ভালো আছে। তাদের কোনো খরচও লাগেনি। অস্ত্রোপচার করেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস্টেট্রিকস) কামরুন্নাহার।’
তিনি আরও বলেন, রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়া দেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ফয়েজ আহমেদ। এখন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও হবে। উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সন্তান প্রসবের কষ্ট অনেকটা লাগব হবে।
১৯৯৭ সালে ফুলগাজী উপজেলায় ৩১ শয্যার একটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার চালুর জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়। কিন্তু অ্যানেস্থেসিস্ট সংকটের কারণে অস্ত্রোপচার চালু করা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।