× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সুনামগঞ্জে শিক্ষায় বাধা দারিদ্র্য

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৪ পিএম

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৭:২০ পিএম

শাল্লা উপজেলার মনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পঞ্চম শ্রেণিতে ২৬ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত মাত্র পাঁচজন। সাম্প্রতিক ছবি- প্রবা ফটো

শাল্লা উপজেলার মনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পঞ্চম শ্রেণিতে ২৬ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত মাত্র পাঁচজন। সাম্প্রতিক ছবি- প্রবা ফটো

সুনামগঞ্জের দুর্গম শাল্লা উপজেলার মনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টিতে গেল বছর শিক্ষার্থী ছিল ২০৫ জন। এ বছর ৩৮ জন কমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৭ জন। পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিদ্যালয়টিতে গেল বছর শিশু শ্রেণিতে পাঁচ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ছিল ১৬ জন। এবার চার ও পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের নিয়ে এই শ্রেণিতেই দুটি ভাগ করা হয়েছে। এই শিশু শ্রেণিতে প্রথম ভাগে ৪ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ১১ ও দ্বিতীয় ভাগে ৫ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ২১ জন পড়াশোনা করছে।

বিদ্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছর প্রথম শ্রেণিতে ৪২, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩২, তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৬, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৯ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিল। এ বছর প্রথম শ্রেণিতে ২৪, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৫, চতুর্থ শ্রেণিতে ২৬ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৬ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিদ্যুৎ বরণ সরকার বলেন, এখানের বেশিরভাগ পরিবার নিম্ন আয়ের দিনমজুর। সারা দিন কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চালায়। এই পরিবারগুলোর শিশুরা বাবার সঙ্গে কাজে যোগ দেয়। যখন বোরো ধান রোপণ ও ধান কাটার সময় আসে, তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খুবই কম আসে। তারা বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে যোগ দেয়। এ ছাড়া যখন পাহাড়ি ঢলে ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন এই পরিবারগুলো কাজের উদ্দেশ্যে শহরে চলে যায়। এতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে।

জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৭২৩টি। এই বিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ঝরে পড়ার হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। 

উপজেলা পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ, দোয়ারাবাজারে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিশ্বম্ভরপুরে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, ছাতকে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, তাহিরপুরে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জামালগঞ্জে ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ধর্মপাশায় ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, শাল্লায় ৫ শতাংশ, দিরাইয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, জগন্নাথপুরে ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও শান্তিগঞ্জে ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। 

শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের বাসিন্দা সন্দিপন তালুকদার বলেন, আমাদের এলাকায় এমনও বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা নেই। এ কারণে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না।  

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাঁধনপাড়ার বাসিন্দা নিহার রঞ্জন দাশ বলেন, করোনাকালীন আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এ ছাড়া পরিবারের দারিদ্র্যতা ও দুর্গম এলাকায় সবসময় বিদ্যালয়ের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকাও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ।

জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব জামান বলেন, এখানে ঝরে পড়ার প্রধান কারণ ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা। বন্যা, খরার সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা। সে কারণেও শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। তবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধ করতে আমরা কাজ করছি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা