নীলফামারী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৩ পিএম
বিয়ের পর কনের বাড়িতে ছিল বরপক্ষের দাওয়াত। কথা ছিল, বরপক্ষের ১০০ জন আসবেন সেই দাওয়াতে। কিন্তু কনেপক্ষের অভিযোগ, দাওয়াতে বরপক্ষের আড়াইশজন গিয়েছেন। আর তাতে টান পড়ে খাবারে।
দাওয়াত শেষে বরপক্ষের সবাই গাড়িতে উঠে বসেছেন ফেরার জন্য। তখন বরের বাবা কনের বাবাকে ডেকে অভিযোগ করেন, তাদের আপ্যায়ন ভালো ছিল না। মাংস কম পেয়েছেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় কথা কাটাকাটির।
একপর্যায়ে বর ও কনেপক্ষের লোকজনও তাতে জড়িয়ে যায়। শুরু হয় সংঘর্ষ। আর তাতে আহত হন বরের বাবা নুর মোহাম্মদ। পরে হাতপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জলঢাকায়। নিহত নুর মোহাম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে পৌরসভার আমরুলবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে। ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছি আমরা।’
পারিবারিকভাবে জলঢাকা পৌরসভার আমরুলবাড়ী এলাকার জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে রংপুরের উত্তম হাজিরহাট বাওয়াই পাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে জনাব আলীর বিয়ে হয়। শুক্রবার রাতে মেয়েপক্ষের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল।
স্থানীয় আব্দুল মালেক বলেন, ‘গত সপ্তাহে বিয়ে হয়েছে। শুক্রবার মেয়ের বাড়িতে ছেলেপক্ষের ১০০ জন আত্মীয় আসার কথা ছিল। সেখানে ২৫০ জন আসে। খাওয়া-দাওয়ার পর বরের বাবা গাড়িতে ওঠার সময় কনের বাবাকে বলেন মাংস কম হয়েছে। আপ্যায়নও কম হয়েছে। এই কথা বলার পর কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বরের বাবাকে মারধর করেন কনের পক্ষের লোকজন। মারধরে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় বরের বাবা মারা যান।’