× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সংকটে নেত্রকোণা হাওরের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা

মো. জিয়াউর রহমান, নেত্রকোণা

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৫ পিএম

সংকটে নেত্রকোণা হাওরের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

সংকটে নেত্রকোণা হাওরের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

নানা রকম সংকটে চলছে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। জেলার মোট ১০টি উপজেলার মধ্যে হাওরাঞ্চলের মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার বেশিরভাগ শিশু বর্ষায় বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয় দরকার বলে মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১ হাজার ৩১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক ৩৩৬টি ও প্রাথমিক ৬৫৫টি। এর বাইরেও কিন্ডারগার্টেন আছে ৩৫৮টি। আরও ২৫০টি বিদ্যালয় রয়েছে অনিবন্ধিত। জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে জরিপকৃত শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯ জন। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছে মোট ৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৯ শিশু এবং জেলায় শতকরা ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৮৮ ও ঝরে পড়ার হার ১১ দশমিক শূন্য দুই।

শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১০৭টি বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির সুবিধা নেই। ৭৪টি বিদ্যালয়ে নেই পাকা ভবন। ওয়াশরুম নেই ৮৪৪ বিদ্যালয়ে। ৬৯৩টিতে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া থাকলেও ১১৫টিতে ল্যাপটপ এবং ৪৭টি বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া সচল নেই। হাওরের তিন উপজেলার মধ্যে মদনে ঝরে পড়ার হার শতকরা ১২ দশমিক ৩৭, মোহনগঞ্জে ঝরে পড়ার হার শতকরা ৭ দশমিক ৬২ ও খালিয়াজুরী উপজেলায় ঝরে পড়ার হার শতকরা ১৫ দশমিক ২১।

মদন উপজেলায় ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫৪৭ শিক্ষকের পদের মধ্যে ৩৩টি সহকারী শিক্ষক ও ৬৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৮৯টি বিদ্যালয়ে মোট ৫৩০ জন শিক্ষকের পদ মধ্যে ১৪টি সহকারী শিক্ষক ও ২৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। খালিয়াজুরী উপজেলায় ৬৩টি বিদ্যালয়ে মোট ৩৭৭ জন শিক্ষকের পদের মধ্যে ১৬টি সহকারী ও ২৪টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

হাওর এলাকার তিন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ঝরে পড়ার হার অনেক বেশি এবং শিক্ষক, অবকাঠামো, সুপেয় পানির সংকটসহ অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া অচল বলে শিক্ষক, স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের লোকজনের বরাতে জানা গেছে।

খালিয়াজুরী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ বর্মণ বলেন, আমার বিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে অন্য কোনো বিদ্যালয় নেই। এলাকার ২২টি পাড়া বা মহল্লার মধ্যে একমাত্র স্কুল এটি। এত বড় এলাকা নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

জেলার সবচেয়ে দুর্গম হাওর উপজেলা খালিয়াজুরী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলাটি বছরে প্রায় ছয় মাস জলাবদ্ধ থাকে। তখন অনেক স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। এ ছাড়া এখানে অনেক গ্রাম এখনও বিদ্যালয়হীন। তবে নতুন ছয়টি গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি আমরা।’ 

মদন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার এখানে শিক্ষক সংসট সবচেয়ে বড় সমস্যা। ৩৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য এবং ৯৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৭টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক নেই। তবে ৩৭ জন সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে যেসব সংকট রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা