পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৯ পিএম
বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় ৩, ৪ এবং ৫ মার্চের অনুষ্ঠানকে ঘিরে এ উত্তেজনার ঘটনা ঘটে।
ওই অনুষ্ঠান বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইমান আকিদা রক্ষা কমিটিসহ ৬টি ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কে বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। বিপাকে পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।
বেলা সাড়ে ১১ থেকে বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম শফিকুল ইসলামের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
তবে অবিলম্বে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলোর নেতারা। এর আগে গতকাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক বরাবর সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সালানা জলসা এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে। আগামীতে তাদের কোনো অনুষ্ঠান পঞ্চগড়ে হবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। তবে আহমদিয়াদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ কারা করেছে আমরা জানি না। আমাদের কোনো কর্মী সেখানে যায়নি।’
এদিকে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে আন্দোলনকারীদের একাংশ বিকাল ৪টার দিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবির টহল জোড়দার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই তৎপর ছিলাম, এখনও আছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহমদনগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’