× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নতুন জঙ্গি সংগঠনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৬:০০ পিএম

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার তরুণ। প্রবা ফটো

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার তরুণ। প্রবা ফটো

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

বুধবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তাররা হলেন পটুয়াখালীর দশমিনা এলাকার হোসাইন আহমদ, কুমিল্লা সদরের নিহাল আব্দুল্লাহ, একই এলাকার আল আমিন ও খুলনার ডুমুরিয়ার আল আমিন। চারজনকে রাঙামাটি সদর থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০২২ সালের ২০ অক্টোবর রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থেকে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সাতজন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফর তিনজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের মুখে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বের হয়ে সমতলে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করছে, এমন সংবাদ পায় র‌্যাব। পরে মঙ্গলবার রাতে পটিয়া বাইপাস থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজন নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সদস্য। এ নিয়ে র‌্যাব এখন পর্যন্ত সংগঠনটির ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন জানিয়েছে, সহপাঠী, নিকটাত্মীয়, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তি বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা এই সংগঠনে যোগদান করে। বিভিন্ন সময়ে জামাতুল আনসারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের ভিডিও দেখানো, রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে উৎসাহী করে তুলত। এ কারণে গ্রেপ্তার চারজন বিভিন্ন সময়ে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হন।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই পর্যন্ত সংগঠনটির ৫৫ জন সদস্যের একটি তালিকা পেয়েছি, যারা তথাকথিত হিজরতের নামে বাসা থেকে আত্মগোপন করেছেন। এর মধ্যে র‌্যাব ইতোমধ্যে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের মধ্যে একজন বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আরেকজন প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।’

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে হোসাইন রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। তিনি ২০২১ সালে সিরাতায়ের মাধ্যমে এই সংগঠনে যোগদান করেন। পরে সিরাজ তাকে সংগঠনের শুরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সংগঠনের শুরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বাকলাই পাড়া হয়ে পাহাড়ে যান। পাহাড়ে যাওয়ার পর একে-৪৭সহ বিভিন্ন অস্ত্র চালানো, বোমা প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সামরিক কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তবর্তী রেল্লোং পাহাড়সহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান করে। পরে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে তারা বিভক্ত হয়ে ছোট একটি গ্রুপে পার্বত্য অঞ্চলে আত্মগোপন করেন।

বাহিনীটি জানিয়েছে, আল আমিন কুমিল্লার একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। তিনি ২০২১ সালে মাদ্রাসার এক সহপাঠীর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। আগে গ্রেপ্তার হওয়া ফাহিমের মাধ্যমে উগ্রবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ও পাশের দেশে মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও কন্টেন্ট দেখে সংগঠনে যোগদান করেন। পরে তথাকথিত হিজরতের নামে ২০২১ সালের আগস্টে পরিবার থেকে নিরুদ্দেশ হন। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থেকে জঙ্গিবাদ বিষয়ক বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে সংগঠনের শুরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাহাড়ে যান। পাহাড়ে আসার পর তিনি সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন।

র‌্যাব জানায়, নওমুসলিম মো. আল আমিন স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি ২০১৮ সালে স্থানীয় এক ইমামের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি রাজধানীতে চলে আসেন। এছাড়া সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করা শুরু করেন। তিনি সিরাজের মাধ্যমে সংগঠনটিতে যোগ দেন। পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে শুরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে যান। পাহাড়ে আসার পর তিনি সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন।

বাহিনী জানায়, নিহাল আব্দুল্লাহ উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০২০ সালের শেষের দিকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে কুবা মসজিদের আগে গ্রেপ্তার করা ইমাম হাবিবুল্লাহর সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সংগঠনে যোগদান করেন নিহাল। তিনি ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট তথাকথিত হিজরতের জন্য বাসা থেকে বের হন। এ সময় কুমিল্লা, পটুয়াখালী, সাভার ও চাঁদপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থেকে জঙ্গিবাদ বিষয়ক বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ নেন। নিহাল হিজরতে থাকার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার ওপর তার নেতৃত্বে একটি হামলার পরিকল্পনা নেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সেই হামলার পরিকল্পনা নসাৎ হয়ে যায়। পরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সংগঠনের শুরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বাকলাই পাড়া হয়ে কেটিসিতে যান। কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আট তরুণের মধ্যে তিনি একজন। পাহাড়ে আসার পর তিনি সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা