কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে হামলা হয়। প্রবা ফটো
কক্সবাজার শহরে বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রশাসন বলছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় অভিযুক্ত দখলদার আবদুল খালেকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ওই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের সময় দুই শতাধিক ভবন ও ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। নদীর তীর থেকে সরানো হয়েছে দখলের কাজে ব্যবহৃত শতাধিক পিলার।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, উচ্ছেদের সময় আবদুল খালেকের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ১০ থেকে ১২ জন যুবক। এ সময় ডিবিসি নিউজ ও বিডিনিউজের প্রতিনিধি শংকর বড়ুয়া রুমি, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মাইন উদ্দিন শাহেদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপুসহ কয়েকজন আহত হন।
এ সময় পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সময় আবদুল খালেককে পিস্তল হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিবেদক তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা মূলত উচ্ছেদের সংবাদ সংগ্রহ করছেন। এখানে তাদের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, উচ্ছেদ চলমান রয়েছে। অনেকেই আইনজীবী এনে উচ্ছেদে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে এ উচ্ছেদ চলতে থাকবে। নদীর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পর্যন্ত অভিযান চলবে। অভিযুক্ত খালেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।