প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৩ পিএম
গ্রেপ্তার খন্দকার গোলাম রব্বানী। প্রবা ফটো
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খন্দকার গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ ও র্যাব-৯-এর সদস্যরা।
র্যাব-২-এর সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ’গোলাম রব্বানী দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। যুদ্ধকালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’
ফজলুল হক বলেন, ’২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের আদালতে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন একটি মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দীর্ঘ বিচার কার্যক্রমের পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল খন্দকার গোলাম রব্বানীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।’
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে খন্দকার গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড ও গুমসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। একাত্তরের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকিবাডি বাইলেনের বিখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণের পর নির্যাতন ও দড়ি দিয়ে জিপের পেছনে টেনে নিয়ে হত্যা করে। একাত্তরের ২ আগস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লী ও মুন্সীপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, গুলি করে একজনকে হত্যা ও দুই হিন্দুকে আহত করাসহ শহীদ আ. রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনি যুক্ত ছিলেন।