হিলি (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:২১ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৪ পিএম
সন্তান হারানোর শোকে জ্ঞান হারিয়ে মাটি পড়ে গেছেন মা। প্রবা ফটো
দিনাজপুরের হিলিতে ট্রেনে কাটা পড়ে দশম শ্রেণির এক শিক্ষর্থী নিহত হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলার সাতকুড়ি বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওয়াজেদ ইসলাম ওয়াদুদ। ওয়াজেদ উপজেলার ১ নম্বর খট্টামাধবপুর ইউনিয়নের রায়ভাগ গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে। ওয়াজেদ গোহারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সকাল থেকে ছেলেটিকে সাতকুড়ি রেলক্রসিং এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ট্রেন আসার কিছুক্ষণ আগে রেল লাইনের ওপর বসে তাকে মোবাইল চালাতে দেখা গেছে। পরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি হিলি সাতকুড়ি রেলক্রসিং পার হবার সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ছেলেটি।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওয়াজেদের। এর জেরে কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। অপমান সইতে না পেরে ওয়াজেদ আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বাবা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেশী এক স্কুল শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওয়াজেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় তারা আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৫-৬ জন মিলে মারধর করে। তারা আমার ছেলেকে মামলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওয়াজেদ। এর আগেও আমার ছেলেকে তারা নির্যাতন করেছে। কিন্তু আমরা তা জানতাম না। তাদের নির্যাতনের কারণেই আমার ছেলে প্রাণ দিয়েছে। আমি ওই মেয়ের পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে, ঘটনার পরপরই বাড়িতে তালা লাগিয়ে আত্মগোপনে গেছে নির্যাতনকারী পরিবারের সদস্যরা। ওই কিশোরীর বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিরক্ত করার কারণে আমার ছেলে ওয়াজেদকে চড়-থাপ্পর মেরেছে। এর বেশি কিছু না।’