রাজশাহী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৩ পিএম
ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি মাতৃভাষা ফিরে পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাষার মাস চলছে। আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি। অবশ্যই তোমরা সকালে শহীদ মিনারে যাবে, শহীদদের স্মরণ করবে। কারণ তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা মায়ের ভাষা ফিরে পেয়েছি। তোমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কেও জানবে। এটি জানতে পারলে কখনোই তোমাদের অন্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলা যাবে না।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর কোর্ট কলেজে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
অনুষ্ঠান শেষে কোর্ট কলেজ থেকে উত্তীর্ণ বিভিন্ন কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে উৎসাহ প্রদান করা হয়।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বর্তমান সরকারের ১৪ বছরে রাজশাহীতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অতীতের কোনো সরকারের আমলে হয়নি। আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী আরও উন্নত শহরে রুপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সকল আমল আমি দেখেছি। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশসহ রাজশাহীতে যে উন্নয়ন হয়েছে, আমার ৭০ বছরের জীবনে সেই উন্নয়ন দেখিনি। এটিকে স্বীকার করতে হবে। অন্যান্য জায়গার কথা বলতে পারবো না, কিন্তু এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে বলতে পারি, আমরা যেভাবে কাজ করছি আগামী এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন দিক দিয়ে রাজশাহী আরও উন্নত শহরে রুপান্তরিত হবে।
নিজ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাদশা বলেন, ১৪ বছর আগের রাজশাহী এবং এখন রাজশাহীর মধ্যে অনেক পার্থক্য। শহরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন পরিকল্পিত উন্নয়নের আওতায়। রাস্তা দিয়ে গেলে দেখতে পাবেন, স্কুল-কলেজগুলোতে এখন নতুন নতুন আধুনিক ভবন। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার জন্য যেমন পরিবেশ প্রয়োজন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতায় আমরা সেটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে আমার স্বপ্ন ছিল জনপ্রতিনিধি হতে পারলে ‘শিক্ষা নগরী’ হিসেবে খ্যাত রাজশাহীকে প্রকৃত শিক্ষা নগরীতে পরিণত করবো। আজকে তৃপ্তি পাই, যখন দেখি প্রকৃতপক্ষেই শহরটিকে শিক্ষা নগরীতে পরিণত করতে পেরেছি। আমি সবসময় জ্ঞান এবং শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি। যাতে আমাদের সন্তানেরা সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
কোর্ট কলেজকে জাতীয়করণের দাবির বিষয়ে বাদশা বলেন, এই কলেজ জাতীয়করণ করা যাবে না তা নয়। অবশ্যই যাবে। কোর্ট কলেজকে আমি টিনের দেখেছি, ব্যাড়ারও দেখেছি। পানিতে ডুবে যেতেও দেখেছি। কিন্তু এখন তো সেটি আর নেই। উন্নত হয়েছে। ঠিক তেমনই কোর্ট কলেজ যদি তাদের সেই স্বক্ষমতা অর্জন করে, অবশ্যই এটি জাতীয়করণ হবে।
নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোর্ট কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম কামরুজ্জামান। বক্তব্য দেন কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোয়ার হোসেন সেলিম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তানজির হোসেন দুলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কোর্ট কলেজের শিক্ষকমণ্ডলি, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।