আনোয়ার হোসেনকে প্রথম ভাষা শহীদের স্বীকৃতি দাবি

১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে কারারক্ষীদের গুলিতে নিহত সাতজনের একজন সাতক্ষীরার আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই দাবিতে তারা রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কের বুধহাটা বাজারে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।

শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সচ্চীদানন্দ দে সদয়, সাধারণ সম্পাদক কেএম হাসান, শহীদ আনোয়ার হোসেনের খালাত ভাই আছিরউদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আনোয়ার হোসেন খুলনার বিএল কলেজে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালীন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে রাজশাহী কারাগারে রাখে। ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালায় কারারক্ষীরা। এতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। 

তারা হলেন বিজন সেন, দিলওয়ার হোসেন, হানিফ শেখ, কম্পরাম সিংহ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, সুধীন ধর ও আনোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।