দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৩ এএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৪ এএম
দিনাজপুরে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ওয়ারড্রোবে রেখে নিজেই থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কোনো এক সময় স্ত্রীকে হত্যা করেন ওই ব্যক্তি। রাত সোয়া ১০টার দিকে থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হত্যার শিকার নববধূর নাম সুমাইয়া আক্তার হাসি। বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে তিনি। স্বামী মনোয়ার হোসেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলার মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে। ২০ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছিল।
মনোয়ার পেশায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। দিনাজপুর জেলা কারাগারের রেইবো সুপার মার্কেট-২ এ তার মোবাইল ফোন বিক্রয়ের দোকান রয়েছে।
ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি।’
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘২০ জানুয়ারি মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সুমাইয়া আক্তার হাসির বিয়ে হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তারা দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ওই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে সুমাইয়াকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ওয়ারড্রোবের ভেতর রেখে দেন মনোয়ার। এরপর রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান তিনি। পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়ারড্রোব থেকে হাসির লাশ উদ্ধার করে। মনোয়ারের নামে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’