কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৭ পিএম
মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে কুড়িগ্রাম-৩ (উকিলপুর) আসনের এমপি মতিনের প্রত্যাহারের দাবিতে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। প্রবা ফটো
সম্প্রতি প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সংসদ সদস্য এমএ মতিনের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের নামও প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে সচেতন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উলিপুরের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
মানববন্ধন ও সম্মেলনে উলিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলী, আব্দুল খালেক সরকারসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, ‘আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ও ২০২১ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাছাই কমিটি সাক্ষাৎকারের জন্য তাকে (এমএ মতিন) ডাকলেও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি উপস্থিত হননি। ফলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন উল্লেখ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) প্রতিবেদন দেয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাছাই কমিটি। এরপরও তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে। তার নাম তালিকায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এমএ মতিনের বড় ভাই এমএ করিম রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায় তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের ঘটনার পর সংসদ সদস্য এমএ মতিন দাবি করেছেন, গোলাম হোসেন মন্টু জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগও তোলেন তিনি। এ বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে করার কথা জানান এমএ মতিন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম হোসেন মন্টুর বয়স ছিল মাত্র আট বছর। পরে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর পরে সবখানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। আমার কাছে সকল পেপারস আছে। আমি বলতে চাইনি। সে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে এসব বলছে। আমিও খুব শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে সব জানাব।’