নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৪ পিএম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৪ পিএম
স্বামী বাড়িতে না থাকায় গৃহবধূ নাজমুন নাহারের বাড়িতে চুরির ফন্দি আঁটেন যুবক জাহাঙ্গীর আলম ও নিজাম উদ্দিন শান্ত। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাতে সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে ঢুকেন দুই যুবক। ঘরে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে একপর্যায়ে নাজমুনকে ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর ও নিজাম। এ সময় ভুক্তভোগী নারী এই দুই যুবককে চিনে ফেলায় তাকে গলা কেটে হত্যা করেন তারা।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে নাজমুন নাহার হত্যায় গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর ও নিজাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
আসামি নিজাম উদ্দিন শান্ত ও জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর নলুয়া গ্রামে। দুজনই পেশায় রিকশাচালক।
পুলিশ জানায়, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের গোপীবল্লভপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নাজমুন নাহার। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে জাহাঙ্গীর ও নিজামকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।
পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের মূল উদেশ্য ছিল চুরি করা, কিন্তু সুযোগ পেয়ে তারা ধর্ষণ এবং হত্যা করেছে। আমরা আসামিদের কাছে নানান কৌশলে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, গৃহবধূর নুপুর, কানের ধুল ও মোবাইল উদ্ধার করেছি।’
মামলার তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য আমরা উন্মোচন করেছি। আমরা বের করার চেষ্টা করব মামলায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা। জড়িত থাকলে তাদেরও আমরা গ্রেপ্তার করব। দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।’