খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০১ পিএম
মঙ্গলবার সুন্দরবন একাডেমি ও খুলনা প্রেস ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া সুন্দরবনের সুরক্ষা অসম্ভব। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন বেগবান করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষা ও বন নিয়ে সার্বিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুন্দরবনবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুন্দরবন একাডেমি ও খুলনা প্রেস ক্লাব। এ ছাড়া এ দিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ সুন্দরবন সন্নিহিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি পালিত হয়।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সভাপতিত্বে এবং অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, মাসাসর নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু, সুন্দরবন প্রেমিক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন. নাগরিক নেতা মো. সাবির খান, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার ওপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল। এ বন ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সুন্দরবনবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।
সুন্দরবন রক্ষায় জনঅশংগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, শুধুমাত্র বন বিভাগের কিছু কর্মীদের দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। এই বনের যেকোনো ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলবে।
এদিকে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের মোংলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় মানুষের মুনাফালোভী বনবিনাশী কর্মকাণ্ড রুখতে হবে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সবাইকে সুন্দরবনকে ভালোবাসার অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
‘বাচাই সুন্দরবন বাঁচাই পরিবেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সুন্দরবন একাডেমি, ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই) বাদাবন সংঘ এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। আলোচনা শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে মোংলা শহীদ মিনারে সুন্দরবনবিষয়ক চিত্রাঙ্কন, উপস্থিত বক্তৃতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।