যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৩ পিএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:২২ পিএম
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে জনউদ্যোগের মানববন্ধন। প্রবা ফটো
ভৈরব নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন 'জনউদ্যোগ যশোর' নামের এক সংগঠন। বালু উত্তোলন বন্ধে সংগঠনটি মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি ও ৫ জুন সংবাদ সম্মেলন করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্প্রতি ঠিকাদার শহরের বাবলাতলা ব্রিজের অদূরে ভৈরব নদ থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছে।
জনউদ্যোগের সদস্য রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, গত মে থেকে জুন মাসে ভৈরব নদ থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ পাইপলাইন দিয়ে এক কিলোমিটার অদূরে পুলিশ লাইনের মধ্যবর্তী একটি পুকুর ভরাট করা হয়। সম্প্রতি ফের জাহিদ হোসেন মিলন নামের এক ঠিকাদার ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে দুই পাড়ের ভূমি ধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়মূলক এ ধরনের কার্যক্রম চললেও প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন আইনি লড়াই ছাড়া উপায় নেই।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ভৈরব নদে খনন কাজ চলার সময় শহরের ড্রেন দিয়ে ময়লা আবর্জনা এসে পড়ছিল। ঠিকাদার আবর্জনা তুলে দূষণমুক্ত করতে ড্রেজিং মেশিন বসিয়েছিলেন।
ফের বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ড্রেজিং মেশিন দিয়ে সম্প্রতি মাটি কাদা নদের পাড়ে রাখা হচ্ছে। কিছু বালু উঠলেও উঠতে পারে। সেখান থেকে শুধু বালুই উত্তোলন করছে সেটা সরাসরি বলা ঠিক হবে না। তবে তাদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। খুব শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ-অর-রশিদ, যশোর মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবির যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপশহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, জনউদ্যোগ যশোরের সদস্য মাসুমা বেগম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস প্রমুখ।