কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫২ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৫ পিএম
তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও তার আশপাশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। প্রবা ফটো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু থেকে রোহিঙ্গা সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। প্রথম দিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে।
রোহিঙ্গাদের সরানোর এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, সরিয়ে আনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৩ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। আর ১২ পরিবার অনিবন্ধিত রয়েছে।
সেখানে ১৮০ জন রোহিঙ্গা থাকলেও কতজন নিবন্ধিত আর কতজন অনিবন্ধিত তার সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এদের সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রেখে আবারও যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে যে যে ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছে ওইসব পরিবারকে স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাদের তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশে তাঁবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন। যেখানে ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময় পালিয়ে আসারাসহ অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে।
সেসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)। অপরদিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)। ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি পরিবারের সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।
গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়।
এ সময় শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাঁবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা। কিন্তু বর্তমানে ওখানে ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেলেও বাকিরা কোথায় তা বলতে পারছেন না কেউ।