লক্ষ্মীপুর বিআরডিবি
লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৩২ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৫৯ পিএম
পাঁচটি উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে চারটিতেই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) নেই। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়সহ পাঁচটি উপজেলা কার্যালয়ে মোট ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। পাঁচটি উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে চারটিতেই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) নেই। রায়পুর উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (এআরডিও) একাই তিনটি উপজেলা কার্যালয়ের আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। রামগতি কার্যালয়ের জুনিয়র অফিসার (হিসাবরক্ষক) একাই পাঁচটি উপজেলার দায়িত্বে আছেন।
উপজেলা কার্যালয়গুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় উন্নয়নমূলক কাজ ও আবর্তক ঋণ প্রায় বন্ধ হয়ে গছে। দ্রুত জনবল নিয়োগ না দিলে পল্লী উন্নয়ন বিভাগ নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন চারটি উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যানরা।
বিআরডিবি লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, জেলা কার্যালয়ে জুনিয়র অফিসার ও অফিস সহায়কের পদ শূন্য রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি ও রামগঞ্জে আরডিও নেই। সদর, রামগঞ্জ ও রামগতি কার্যালয়ে এআরডিও পদও শূন্য। রামগতিতে জুনিয়র অফিসার (হিসাবরক্ষক) থাকলেও তিনি সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগঞ্জ কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কমলনগরের এআরডিও মো. আলাউদ্দিন রামগঞ্জের আরডিও পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নিজ কার্যালয়ে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে কয়েক বছর ধরে আরডিও, এআরডিও ও হিসাবরক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। সবশেষ ২৬ ডিসেম্বর আরডিও (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক অবসরে যান।
তিনি রামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের এআরডিওর দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেও তিনি আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
রামগতি বিআরডিবির চেয়ারম্যান সোয়েব খন্দকার বলেন, রামগতি কার্যালয়ে আরডিও এবং এআরডিও নেই। রায়পুরের এআরডিও এখানে আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ, ঠিকমতো অফিস করতে পারেন না। অন্যদিকে তার অফিসের জুনিয়র অফিসার (হিসাবরক্ষক) আরও চারটি উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। পদগুলো শূন্য থাকায় আবর্তক ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রায়পুর বিআরডিবির চেয়ারম্যান শফিক খান বলেন, তাদের কার্যালয়ে আরডিও এবং হিসাবরক্ষক পদ শূন্য। এআরডিও আবদুস সাত্তারকে সদর ও রামগতি কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রায়পুরেও তিনি আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। এ জন্য তাকে নিজ কার্যালয়ের কাজ ঠিকমতো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রামগঞ্জ বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া বলেন, তার কার্যালয়ের আরডিও, এআরডিও ও হিসাবরক্ষকের পদ শূন্য। এতে তাদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়সারাভাবে কাজ করছেন।
সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, আমার কার্যালয়ের সরকারি তিনটি পদই শূন্য। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়সারাভাবে কাজ করে চলে যান। এতে সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
জেলা বিআরডিবি কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, তার কার্যালয়েই দুটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়টি তিনি প্রধান কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সারা দেশে আরডিও ও জুনিয়র অফিসার পদে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি পদে জনবল দিতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।