অফিস সহায়ক পদে চাকরি
যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৭ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
যশোরের চৌগাছায় ঝাউতলা এম কে এন জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মেহেদী হাসানের দাবি, প্রধান শিক্ষক আইনাল হক ও কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান তার কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়েও চাকরি দেননি। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযুক্তরা তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক আইনালের দাবি, তিনি মেহেদীকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। প্রমাণস্বরূপ এর ভিডিও ফুটেজ তার কাছে আছে। তবে এ ব্যাপারে সভাপতি মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মেহেদীর লিখিত অভিযোগের পর গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
মেহেদী গত ৩১ জানুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে এবং ১ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে টাকা দেওয়ার ভিডিওসহ লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে মেহেদী বলেন, ‘প্রত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে অফিস সহায়ক পদে আবেদন করি। চাকরি পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতির কথায় তাদেরকে কয়েক দফায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছি। এই টাকা দিতে গিয়ে আমার বসতভিটার জমি বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু আমাকে চাকরি না দিয়ে গত ২১ জানুয়ারি যশোর জেলা স্কুলে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে অধিক অর্থের বিনিময়ে অন্যজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় তারা আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। টাকা দেওয়ার ভিডিও ফুটেজও আমার কাছে আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’